CSE নিয়ে পড়ে চাকরির বাজারে আমার ভবিষ্যৎ কী?


CSE নিয়ে পড়ে চাকরির বাজারে আমার ভবিষ্যৎ কী?

বর্তমানে বড় বড় টেক জাযান্ট কোম্পানি গুলির কর্মী ছাটাইয়ের একটা পরিসংখ্যান আপনাদের সামনে তুলে ধরি .Alphabet: 12,000 মাদার কোম্পানি অফ গুগল . Microsoft: 10,000 .Amazon: 18,000 .Coinbase: 2,000 .Salesforce: 7,000 .Meta: 11,000 মাদার অফ  facebook .Twitter: 3,700 .Stripe: 1,100 .Shopify: 1,000 .Netflix: 450 ১০.Snap: 1,000 (source: cnbc). পরিসংখ্যান দেখে বুঝে নিতে হবে ভবিষ্যৎ জব মার্কেট কেমন হবে টেক ইন্ডাস্ট্রী গুলোতে। 

প্রযুক্তিগত চাকরির ভবিষ্যত প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক চাহিদার  কমা বাড়ার উপর নির্ভর করবে। তবে এমন কিছু সেক্টর রয়েছে যেমনত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়াও বেশীর ভাগ কোম্পানী গুলি Remot জবের দিকেই অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে দূরবর্তী সহযোগিতা এবং ভার্চুয়াল যোগাযোগের সাথে সম্পর্কিত কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। যাইহোক, প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং স্বয়ংক্রিয়তা আরও বাড়লে যেমন প্রচলিত কিছু কাজের চাহিদা কমবে, ঠিক তেমনি অন্য অ্যাডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কিত জবের চাহিদা বাড়বে। নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চাবিকাঠি হবে সর্বশেষ প্রযুক্তির সাথে পরিচিত থাকা এবং চাকরির বাজারে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া।

এখন আসেন CSE জব মার্কেট নিয়ে আলোচনা করা যাক.....ভবিষ্যতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) চাকরির বাজার ক্রমবর্ধমান হবে বলেই  আশা করা হচ্ছে, কেননা বিভিন্ন শিল্পে প্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধির হার প্রতিনিয়ত বাড়তেছে। CSE-এর মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেগুলির চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সাইবার নিরাপত্তা। এই ক্ষেত্রগুলির প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ার কারণ হচ্ছে সব রকম ব্যবসায় সিদ্ধান্ত নিতে এবং ক্রিয়াকলাপ উন্নত করতে ডেটা ব্যবহার গুরুত্বপুর্ন। উপরন্তু, প্রযুক্তির অগ্রগতি অব্যাহত থাকায়, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এবং 5G নেটওয়ার্কের মতো নতুন প্রযুক্তি ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করতে পারে এমন পেশাদারদের চাহিদা বাড়বে।  উপরন্তু, অটোমেশন বৃদ্ধির সাথে, এমন লোকেদের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন হবে যারা সিস্টেমগুলিকে একীভূত করতে, পরিচালনা করতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে, যা অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে আরও কাজের সুযোগ তৈরি করবে। 

সামগ্রিকভাবে, CSE চাকরির বাজারের ভবিষ্যত আশাব্যঞ্জক মনে হলেও যাদের সঠিক দক্ষতা এবং জ্ঞান রয়েছে তাদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই চাকুরীর বাজারে নিজেকে প্রস্তুত করতে হলে রাখতে হবে latest technologies এবং trends এর সাথে নিজের দক্ষতাকেও আপডেট। তাই আজকে থেকে ভাবা শুরু করুন আমার দক্ষতা পড়াশুনা কি বর্তমান Latest technologies এবং Trends এর সাথে সম্পর্কিত।

ChatGPT কি? এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করব?

 

ChatGPT হল GPT-3.5-এর উপর ভিত্তি করে ওপেনএআই কর্তিক নির্মিত একটি ক্রিত্তিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ চ্যাটবট যাকে সহজ বাংলায় বললে হয় ভার্চুয়াল কথোপকথন রোবট। এই রোবটের সাথে কথোপকথন করার সময় আপনার মনে হবে যেন আপনি সত্যিই কোন মানুষের সাথে কথা বলছেন, আর আপনার সকল প্রশ্নের আশ্চর্যজনকভাবে ৯৯ শতাংশ সঠিক উত্তর দিতেছে।

কোন একটি বাক্য লেখা হলে তার পরবর্তী বাক্যটি কি হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী করার কাজটি করে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল। রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং উইথ হিউম্যান ফিডব্যাক (RLHF) হল এমন একটি অতিরিক্ত ট্রেইনিং প্রক্রিয়া যা মানুষের ফিডব্যাক গুলিকে ব্যবহার করে এমন একটি উত্তর তৈরি করে যা মানুষের জন্য সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে।

এখন আসুন জেনে নেই সেই সব কোম্পানির লোকেদের কথা যারা ChatGPT তৈরি করে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নিয়ে হইচই ফেলেছেন। ChatGPT তৈরি করেছে সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ওপেনএআই। OpenAI Inc. হল লাভজনক OpenAI LP-এর অলাভজনক মূল কোম্পানি৷ OpenAI তার সুপরিচিত DALL·E এর জন্য বিখ্যাত, এটি একটি ডিপ লারনিং মডেল যা টেক্সট Instruction থেকে ইমেজ তৈরি করতে পারে। বর্তমানে OpenAI এর CEO হলেন স্যাম অল্টম্যান, যিনি পূর্বে ওয়াই কম্বিনেটরের সভাপতি ছিলেন। Microsoft প্রায় $1 billion dollars ইনভেস্ট করে পার্টনার হিসেবে OpenAI সাথে। 

এখন আসুন ChatGPT দিয়ে আমারা কি করতে পারি? আসলে এক কথায় বলতে গেলে টেক্সট দিয়ে উত্তর দেয়া যায় বা কোন কাজের সমাধান দেয়া যায় তা সবই করা যাবে বা আইডিয়া নেয়া যাবে। যেমন কোড, কবিতা, গান, এমন কি উপন্যাস লেখার মত কাজে। 

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস ও শুরুর কথা


পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসা দিবস মধ্যযুগে শুরু হলেও এর বিশ্বব্যাপী প্রসার ঘটে নব্বই দশকের গোড়ার দিকে।বর্তমানে মিডিয়ার কল্যানে ভালবাসা দিবস তো এখন দেশের নতুন মডার্ন প্রজন্মের কাছে ঈদের দিনের মতই আনন্দের। এ দিবসের উৎস নিয়ে প্রচলিত আছে বিভিন্ন মত।আমি শুধু দুইটি মতবাদ আলোকপাত করব। ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জদ্দুর জানা জায় লুপারকালিয়া নামে প্রাচীন রোমে এক উৎসব ছিল যা ১৩ থকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অবধি হত।সে উৎসবে নারী পুরুষ সমান তালে মদ পান করত এবং লটারির মাধ্যমে সংজ্ঞি নির্বাচন করত একান্তে মিলিত হওয়ার জন্যে। এর পর যখন যিশুখ্রিস্ট ধর্ম প্রবর্তিত হয় তখন এই খারাপ উৎসব বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু উৎসব এতই জনপ্রিয় ছিল যে তখনো কিছু লোক এটি তাদের আদি দেবির নামে চালাতে থাকে,,,,,,তারা উৎসব এ কিছটা পরিবর্তন আনে। এই দিনে তারা পাঠা বলি দেওয়া শুরু করল দেবির নামে আর সেই পঠার চামরা দিয়ে কুমারী মেয়েদের প্রহার করা হত এই বিশ্বাসে যে এতে দেবি তাদের সন্তান জন্ম দানের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। এছাড়াও জানা যায় ২৭০ খ্রিস্টাব্দে দিতীয় রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস দেখলেন সেনারা তাদের স্ত্রী সন্তান দের মায়াজালে যুধ্যময়দানে মৃত্যু ঝুকি নিতে চাইত না তাই সম্রাট পুরুষ দের বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্ত এক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের ধর্মযাজক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিয়ে করে তার প্রমিকাকে। এ খবর সম্রাট জানতে পেলে তার ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ মৃত্যু দন্ড কার্যকর করে। আর এই ঘটনাকে শরণ করেই পরবর্তী তে তা ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে পালিত হয়। প্রেম ভালবাসা মায়া মমতা ও শ্রদ্ধা ভক্তি আছে বলেই মানুষ অন্য প্রানি থেকে আলাদা। আল্লাহতালা নিজেই ঘোষনা করেছেন :আল্লাহর কুদরতের মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন এই যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে তোমাদের স্ত্রি দের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি তে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পারিক ভালোবাসা ও অনুগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।নিশ্চই এতে চিন্তাশীল লোকেদের জন্য নিদর্শনাবলি  রয়েছে।(সূরা আর রুম-২১) ভালবাসা হল খোদায়ী অনুভূতি আত্তার তিপ্তি ও মনের প্রশান্তি।কিন্তু বর্তমানে ভালবাসা দিবসের নামে একটি দিনে নতুন মুসলিম প্রজন্ম অনুকরণ করতেছে পশ্চিমা দের মত অশ্লীলতা ও অপসংস্কৃতি। আমরা মুসলিম তাই আমাদের ভালবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোন দিনের প্রয়োজন নেই।যার অন্তরে আল্লাহর ভালবাসা থাকে তার অন্তরে কারোর জন্যে ভালবাসা কম হতে পারে না। সবশেষে বলব জয় হোক পবিত্র অকৃতিম ও নি:সার্থ ভালবাসার।